ফরিদগঞ্জে কিছুদিনের ব্যবধানে পাশাপাশি এলাকায় ফের পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারী) গভীর রাতে উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম রূপসা হাজী বাড়ীর মোঃ শহিদ উল্যাহ'র ঘরে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় এলাকার একাধিক মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়েও ডাকাতদের ধরা সম্ভব হয়নি।

ভুক্তভোগী সহিদ উল্যার শ্যালক মো. মনির হোসেন বলেন, ‘আমার ভাগিনারা তিনজন প্রবাসে থাকে। তাই আমি বোনের বাড়িতে থাকি। বুধবার দিবাগত-রাতে আনুমানিক রাত ১.৩০ মিনিটের দিকে কয়েকজন লোক নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে। আমরা দরজা খুলে দিলে ৬/৭ জন মুখোশধারী লোক নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাদেরকে কোনো কথা বলতে বারণ করে। এরপর অস্ত্র ঠেকিয়ে আমাদের মুখ ও হাত পা বেঁধে ঘরের সমস্ত যায়গা তন্নতন্ন করে খুঁজে সকল কিছু নিয়ে চলে যায়।

মোঃ শহিদ উল্যাহ'র স্ত্রী মাজেদা বেগম লিলু বলেন, আইনের লোক পরিচয় দিলে দরজা খোলার বিকল্প থাকেনা। রাতে আইনের লোক পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢোকে ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে আলমিরার চাবি নিয়ে যায়। এ সময় ঘরে থাকা প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোনসহ সর্বমোট ৬ লক্ষ্য ৭৭ হাজার টাকা সমমূল্যের সম্পদ ও নগদ অর্থ লুণ্ঠন হয়েছে মর্মে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মাজেদা বেগম লিলু আরও বলেন, ডাকাতেরা চলে গেলে আমার ভাই হামাগুড়ি দিয়ে আমার কাছে এলে একে অপরের বাঁধন খুলে বাইরে গিয়ে ডাকচিৎকার দেই। এ সময় ডাকাতদের ধরতে আমাদের মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এলে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে থানা থেকে পুলিশ আসে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হাসান বলেন, বাড়িতে থাকা লোকজনকে বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দলের সদস্যরা। এলাকার কয়েকটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা করেও ডাকাতদের ধরা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, ভুক্তভোগীদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাতে পুলিশি টহল জোরদার করা হবে।’

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে একই উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে পুলিশ পরিচয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর এক সদস্যের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায়ও এখন পর্যন্ত মালামাল উদ্ধার বা কাউকে আটক করা হয়নি।